Media School

Dhaka    Thursday, 21 November 2024

By সজীব সরকার

সিলেকটিভ এক্সপোজার (Selective Exposure)

Media School May 13, 2021

ব্যক্তি নিজের বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠা করতে সুবিধা হয়- এমন তথ্য বেছে নেয় এবং অন্যগুলো বর্জন করে।

মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণায় প্রমাণ পেয়েছেন, মানুষ তার বিশ্বাস বা ধারণার সঙ্গে মিল নেই- এমন তথ্য বাদ দিয়ে তার ভাবনার সঙ্গে মিল থাকা তথ্যগুলোকেই গ্রহণ করে। এভাবে একজন ব্যক্তি তার ভাবনা বা মতামতকে সত্য বা নির্ভুল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই প্রবণতাই হলো সিলেকটিভ এক্সপোজার।

নিজের ধারণা বা বিশ্বাসকে সমর্থন করে না- এমন তথ্য ব্যক্তির মনোজগতে অসন্তুষ্টি ও অস্বস্তি তৈরি করে। এই ‌'নেতিবাচক' অভিজ্ঞতা এড়াতে মানুষ নিজের বিশ্বাসের সঙ্গে দ্বন্দ্বপূর্ণ তথ্যগুলো বর্জন করে।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক : একজন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। তাহলে ওই ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিবাচক বা উপকারী দিকগুলোর উদাহরণ না টেনে কেবল এর নেতিবাচক বা ঝুঁকির দিকগুলোকেই তার মতামতের পক্ষে যুক্তি হিসেবে দাঁড় করাবেন। অন্যদিকে, যিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন, তিনি এর খারাপ দিকগুলো উল্লেখ না করে বরং এর ভালো দিকগুলোর কথাই বলবেন।

এখানে বাস্তবতা হলো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ভালো ও মন্দ - দুটি দিকই রয়েছে। কিন্তু ব্যক্তি নিজের বিশ্বাস বা মত প্রতিষ্ঠা করতে ভালো ও মন্দের মধ্যে একটিকে নিজের মতের পক্ষে উদাহরণ বা যুক্তি হিসেবে বেছে নিচ্ছেন (সিলেকটিভ এক্সপোজার)। এর বিপরীতে নিরপেক্ষ আচরণ হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ভালো-মন্দ দুটি দিক নিয়েই আলোচনা।

মনোবিজ্ঞান ও যোগাযোগ শাস্ত্রের নানা আলোচনায় সিলেকটিভ এক্সপোজার ক্ষেত্রবিশেষে কনজেনিয়ালিটি বায়াস (congeniality bias) বা কনফারমেশন বায়াস (confirmation bias) হিসেবেও সংজ্ঞায়িত হয়।