By সজীব সরকার
সাংস্কৃতিক বুদ্ধিমত্তা (Cultural Intelligence)
Media School May 10, 2024
প্রতীকী ছবি।
প্রতিটি সংস্কৃতি ভিন্ন। একেকটি সংস্কৃতির নিজস্ব বা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। ভিন্নতর সংস্কৃতিকে তার মতো করে বুঝতে পারা এবং সাংস্কৃতিক ভিন্নতা বা বৈচিত্র্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারার সক্ষমতাই হলো সাংস্কৃতিক বুদ্ধিমত্তা (ইংরেজিতে : Cultural Intelligence বা Cultural Quotient - CQ)।
সাংস্কৃতিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ব্যক্তি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সহজেই বুঝতে পারেন। এ ছাড়া, তিনি নিজের সংস্কৃতি ও ভিন্নতর সংস্কৃতির মধ্যকার ক্ষুদ্র পার্থক্যগুলোকেও সহজেই চিহ্নিত করতে পারেন। এ কারণে, সাংস্কৃতিক বুদ্ধিমত্তা থাকলে ভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিজেকে সহজেই মানিয়ে নেওয়া যায়।
সাংস্কৃতিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ব্যক্তিরা বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে প্রচলিত নিজস্ব মূল্যবোধ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক রীতি-আচার ও বিশ্বাস এবং সেই সমাজের মানুষদের মধ্যে যোগাযোগের ধরন বা কাঠামো বুঝতে পারেন। এর পাশাপাশি তিনি অন্য সংস্কৃতির এসব উপাদানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহিষ্ণু থাকেন।
অধ্যাপক ক্রিস্টোফার আরলি এবং অধ্যাপক সুন আং ২০০৩ সালে প্রকাশিত তাদের বই Cultural Intelligence-এ সাংস্কৃতিক বুদ্ধিমত্তার ধারণাটি প্রথম প্রকাশ করেন। বইটিতে তারা সাংস্কৃতিক বুদ্ধিমত্তাকে নতুন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তাকে (Intelligece Quotient বা IQ) গাণিতিক পরিমাণের ধারণা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়; তবে সাংস্কৃতিক বুদ্ধিমত্তাকে এভাবে সংখ্যাতাত্ত্বিক উপায়ে পরিমাপ বা প্রকাশ করা যায় না।