By সজীব সরকার
সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া
Media School February 13, 2025

প্রতীকী ছবি।
আমরা কেমন করে বা কী প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নিই, অথবা, কীভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ - এ নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা, তত্ত্ব, মতামত বা প্রস্তাব রয়েছে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে কী করণীয়, এ ব্যাপারে সাধারণ একটি প্রক্রিয়া নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো :
ধাপ-১. সিদ্ধান্তটি চিহ্নিত করুন : আপনি ঠিক কী সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন, তা স্পষ্টভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। সিদ্ধান্তটির চরিত্র-বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করুন।
ধাপ-২. প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত যোগাড় করুন : আপনি যে সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন, তা কীসের ভিত্তিতে নিয়েছেন? যেসব তথ্য-উপাত্ত বা ধারণার ভিত্তিতে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর উৎস কী? সিদ্ধান্তটি কি আংশিক বা পক্ষপাতমূলক তথ্য বা ধারণার ভিত্তিতে নেওয়া, না কি সার্বিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে? - এমন প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন এবং আপনার উত্তর মিলিয়ে নিন। ভেবে দেখুন, উত্তর সন্তোষজনক কি না।
ধাপ-৩. বিকল্প খুঁজুন : আপনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এর বাইরে আরো বিকল্প আছে কি? অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কি? বিকল্প সিদ্ধান্তগুলোর উপযোগিতা কতোটা? - বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন।
ধাপ-৪. সম্ভাব্য সবগুলো সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করুন : আপনার নেওয়া সিদ্ধান্তের পাশাপাশি অন্য যেসব বিকল্প রয়েছে, সবগুলো সিদ্ধান্তের সার্বিক মূল্যায়ন করুন। নৈর্ব্যক্তিকভাবে তথা বস্তুনিষ্ঠ উপায়ে এ মূল্যায়ন করা জরুরি। আপনার লক্ষ্য অর্জনে কোনটি কতোটা কার্যকর হতে পারে, এর বিচার করুন। সম্ভাব্য উপযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তগুলোকে গুরুত্বের ক্রমানুসারে তালিকাবদ্ধ করুন।
ধাপ-৫. বাছাই করুন : কোন সিদ্ধান্তটির সম্ভাব্য উপযোগ কম বা বেশি - গুরুত্ব অনুযায়ী এভাবে করা তালিকা থেকে এবার আপনিই সবচেয়ে ভালো অপশনটি বাছাই করুন।
ধাপ-৬. প্রয়োগ করুন : যে সিদ্ধান্তটি আপনার জন্য সঠিক বা সবচেয়ে বেশি কার্যকর বলে স্থির করেছেন, এখন সেটি বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিন। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই সবসময় যথেষ্ট নয়; সময়মতো ও উপযুক্ত উপায়ে এর বাস্তবায়নও জরুরি।
ধাপ-৭. সিদ্ধান্তের উপযোগিতা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন : যে সিদ্ধান্তটি নিলেন এবং বাস্তবায়ন করলেন, বাস্তবে সেটি কতোটা ফল দিচ্ছে, তা সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। দীর্ঘমেয়াদী বিষয় হলে অনেক সময় মাঝপথে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নেওয়ার সুযোগ থাকে; এ সুযোগ কাজে লাগান। প্রত্যাশিত ফল না পেলে এবং সংশোধনের সুযোগ না থাকলে ভবিষ্যতের জন্য আরো সতর্ক হোন। কী কারণে এবার সিদ্ধান্তটি প্রত্যাশিত ফল দিতে পারলো না, বা, কোথায় কী ভুল হলো- সেটি আরো গভীরভাবে বোঝার এবং পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সে অনুযায়ী সচেতন থাকার জন্য প্রস্তুতি নিন।