By মাজেদুল হক তানভীর
ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন?
Media School July 13, 2020
প্রতীকী ছবি
ফেসবুকের ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা। ২০০৪ সালে ফেসবুক প্রথম যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর পর ফেসবুকের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
ফেসবুকের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসে ২.৬ বিলিয়ন মানুষ এর ব্যবহারকারী। ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে অন্তত ৩০ মিনিট সময় কাটান প্রতিদিন। এ ছাড়া প্রতিদিন ৩৫০ মিলিয়ন ছবি আপলোড করা হয় ফেসবুকে। প্রতি দিন সেকেন্ডে ৪ হাজার ছবি আপলোড করা হয়।
ফেসবুকে ১৬ মিলিয়নের বেশি লোকাল বিজনেস পেজ তৈরি করা হয়েছে। ৪২ % ব্যবসায়ী মনে করেন ফেসবুক তাদের ব্যবসার প্রধান হাতিয়ার। ফেসবুক ব্যবহারকারীর এই হিসাব প্রতি বছর ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। যেখানে ২০২০ সালে ফেসবুক ব্যবহারকারী ২.৬ বিলিয়ন, সেখানে ফেসবুকের চেয়ে মার্কেটিংয়ের ভালো জায়গা আর কী হতে পারে!
এনালগ মার্কেটিং না করে ফেসবুকে মার্কেটিং করলে কী কী সুবধা পাওয়া যাবে?
ব্যানার, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ফেস্টুন, খবরের কাগজ, রেডিও বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুক বিজ্ঞাপন অনেক বেশি কার্যকরী। কেননা এতে কম খরচে ভালো ফল মিলে। ফেসবুক মার্কেটিং করলে ফলাফল প্রতি মুহূর্তে চেক করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে আপনার চলমান বিজ্ঞাপন বন্ধ করে নতুন বিজ্ঞাপনও দিতে পারবেন। ফেসবুকে মার্কেটিং করলে ফলাফল পর্যালোচনা করা যায়। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন খরচ বেশ কম। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকের ব্যাপক প্রসারের কারণে প্রায় সব মানুষই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত, তাই অতি সহজেই যে-কোনো বার্তা অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
ফেসবুকের বিজ্ঞাপনে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো কম সময়ে ও কম খরচে বেশি প্রচারের সম্ভাবনা। একজন ছোট ব্যবসায়ী বা একটি বড় করপোরেশনের স্বত্বাধিকারীদের কাছে গ্রাহক ধরে রাখার জন্য বা ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর জন্য এবং ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য ফেসবুক একটি মূল্যবান মার্কেটিং মাধ্যম, যেখানে সব লেভেল থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কাছে বার্তা পাঠানো যায়। কোনো ব্রান্ড সৃষ্টির জন্য ফেসবুক মার্কেটিংয়ের বিকল্প নেই।