By অনামিকা আক্তার
জাতীয় জাগরণে নারীর ক্ষমতায়ন দরকার
Media School October 25, 2020
জীবন মানেই যুদ্ধ। প্রতিযোগিতার এই পৃথিবীতে নারী-পুরুষ উভয়কেই জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বাঁচতে হয়। আর এই যুদ্ধে নারীরা সবসময়ই পিছিয়ে, যেখানে পুরুষরা তাদের দেহশক্তি দিয়ে এগিয়ে। পুরুষের কাছে নারীর বাঁধাধরা কয়েকটি রূপ রয়েছে : মা, বোন, স্ত্রী এবং কন্যা। এর বাইরে যেকোন নারী তার কাছে সাধারণ নারী নন, হয়ে যায় পরনারী। আর পরনারী মানেই নষ্টা, ভ্রষ্টা, অপয়া, দেহসর্বস্ব একটি অস্তিত্ব। নারী যেন কখনোই সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে নারী হতেই পারে না।
সমাজে নারীর অবস্থান এখনো পুরুষের সমকক্ষ নয়। নারীদেরকে পুরুষের তুলনায় অনেক তুচ্ছ করে দেখা হয়। সমাজের মানুষ জানেই না, একজন নারী কতটা ক্ষমতাশীল হয়ে থাকে। নারীরা যেমন সংসারের জন্য একহাতে খুনতি ধরে, তেমনি অন্য হাতে যুদ্ধের জন্য অস্ত্র ধরে। তাই একটি শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলার জন্য শিক্ষিত নারীর ভূমিকা অপরিহার্য।
জীবনে চলতে গেলে অনেক বাধা আসবে, সমস্যা থাকবেই। তাই বলে কি আমরা পিছিয়ে পড়বো?...না - আমরা নারী হলেও নারীর ঊর্ধ্বে একজন মানুষ। তাই সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে সাফল্যের উচ্চস্থানে দাঁড় করাতে হবে। আমি নারী, তাই ভয় করে নয়, জীবনের সাথে লড়াই করে, সামনের দিকে এগিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে বিশ্বকে জয় করতে পারি। জীবনের সব বাধা হাসিমুখে পেরিয়ে প্রমাণ করতে হবে, পুরুষের তুলনায় নারীরা কোন অংশেই কম নয়।
সর্বোপরি, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। কাজী নজরুল যথার্থই বলেছেন-
"কোনো কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারী,
প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী।"
আমি গর্ববোধ করে বলতে চাই, আমি একজন নারী। আমি ওই নারী, যে হাজারো সমস্যা, বিপদ পাড়ি দিয়ে জীবনে হাসিমুখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারছি।