By সজীব সরকার
করোনাকালে শিক্ষা ও সুরক্ষা : সংকটকালীন ও সংকট পরবর্তী নানা প্রসঙ্গ
Media School July 4, 2020
হাজারো উন্নয়ন-অগ্রগতির পরও এখনো বাংলাদেশ অনেক খাতেই দুর্বল অবকাঠামোর চাপ পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শিক্ষাখাত এক্ষেত্রে অন্যতম। অদূরদর্শী শিক্ষাব্যবস্থা ও দুর্বল সিলেবাস এবং সিলেবাসের পাঠের সঙ্গে পেশাগত সুযোগ-সুবিধার সামঞ্জস্য না থাকা আর অবকাঠামোগত নানা অসুবিধা আমাদের এখনো রয়ে গেছে। আর করোনাভাইরাসের দাপটে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে, তখন এ ধরনের বিপর্যয়ের সময়ে বিকল্প উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে আমরা যে খুব বেশি পারদর্শী বা ঠিক প্রস্তুত নই, এই অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
আমি যেহেতু একজন শিক্ষক, তাই শিক্ষাকে আমি অন্য অনেককিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতেই পছন্দ করি। তাই আমার আজকের এই লেখা শিক্ষাকে কেন্দ্র করেই। তবে শুরুতেই এটি স্পষ্ট করা দরকার, মানুষের সুস্থতা ও জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে অন্য আর কিছুকেই আমি বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি না; শিক্ষাকেও না।
চলমান এই দুর্যোগের সময়ে সবার আগে মানুষের শারীরিক-মানসিক সুস্থতা ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি আদেশে যখন সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, তখন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ছুটি দিলেও শিক্ষকসহ অন্যদের অফিস করতে বাধ্য করেছে। এ নিয়ে আমরা সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হতে দেখেছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘কোচিং ব্যবসা’ও এ সময় চলেছে স্বাভাবিক সময়ের মতোই। এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্যে আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত; এমন অবহেলা ও কাণ্ডজ্ঞানহীনতার মূল্যই আজ অনেক দেশ দিচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র যার মধ্যে অন্যতম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা নিজেরাই যদি শিক্ষার মর্ম অর্থাৎ সচেতনতার প্রমাণ না দেই এবং এমন প্রহসনের উদ্রেক করি, অন্যদের তাহলে দায়িত্বশীলতা শেখাতে যাওয়া আমাদের সাজে না।
আরেকটি চিন্তার বিষয় হলো, অনির্দিষ্টকালের এই দীর্ঘ ‘বিরতি’। প্রায় এক মাস ধরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত বন্ধ; আরও অনেকদিন এই অবস্থা চলমান থাকবে। এই বিষয়টি নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ : এক. পড়ালেখায় এই দীর্ঘ ছেদ শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে; দুই. এই দীর্ঘ বিরতির কারণে অ্যাকাডেমিক যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় হাতে পাওয়া যাবে- এমন নিশ্চয়তা নেই; তিন. এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অন্তত দুই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে করতে হতে পারে : ক. শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ পাঠদান ও সঠিক মূল্যায়ন ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে/সেমিস্টারে উৎরে দেওয়া অথবা খ. শিক্ষার্থীদের একটি বছর/ক্লাস/সেমিস্টার বাতিল ঘোষণা করে দ্বিতীয়বার তা শুরু করা; চার. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত ও শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কেবল পড়াশোনা করে না, তাদের স্বাভাবিক সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়াও চলমান থাকে যা অনাকাক্ষিত ও অপরিকল্পিত এই দীর্ঘ বিরতিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে; পাঁচ. অনির্দিষ্টকালের এই বিরতির ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যে থাকার স্বাভাবিক প্রবণতা নষ্ট হয়ে দীর্ঘমেয়াদী অনীহা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে এবং এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে (এবং স্কুল-কলেজেও) শিক্ষার্থীদের ড্রপ-আউট বা ঝরে পড়া বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে; এবং ছয় : এই দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট মন্দার কারণে আর্থিক সঙ্কটের দরুণ অনেক পরিবারের ছেলে-মেয়ের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই এর শিকার বেশি হবে বলে ধরে নেওয়া যায় কেননা এ দেশে এখনো অনেক অভিভাবক ছেলেদের শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে ‘বিনিয়োগ’ আর মেয়েদের শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে ‘অপচয়’ বা ‘লস’ মনে করেন। ফলে ছেলেসন্তানটিকে প্রয়োজনে ধার-দেনা করে পড়ালেও মেয়েটির বেলায় তা হবে বলে আশা করা দুরূহ।
গণমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে বা নানাবিধ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লাস বা প্রাসঙ্গিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনেকে পরীক্ষা বা অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে আবার কেউ কেউ সিলেবাস আংশিক সম্পন্ন করে এবং কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ফল মূল্যায়নের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অবশ্য ক্লাস নেওয়াকে উৎসাহিত করলেও পরীক্ষা নেওয়া বা সঠিক উপায়ে পরীক্ষা ছাড়াই সামগ্রিক মূল্যায়নকে নিরুৎসাহিত করছে।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আর সবার মতোই শিক্ষার্থীরা এখন ‘নিজেদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ঘরে বন্দি জীবন’ কাটাচ্ছে। এই সময়ে তাদের মধ্যে সাধারণ হতাশা থেকে শুরু করে রীতিমতো ক্লিনিক্যাল পর্যায়ের ডিপ্রেসন তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই একটু আগে উল্লেখ করা কারণগুলোসহ আরও নানা কারণেই তাদেরকে পড়াশোনার মধ্যে রাখা দরকার। তাহলে পড়াশোনার ক্ষতি কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা যাবে এবং শিক্ষার্থীদের মনোযোগ এদিকে থাকলে এই আকস্মিক ‘বন্দিত্বজনিত হতাশা’ থেকে কিছুটা হলেও তারা দূরে থাকার সুযোগ পাবে। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা ও তাদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্যের তোয়াক্কা না করে শুধু সিলেবাস এবং সেমিস্টার শেষ করার জন্যে তাদের ওপর স্বাভাবিক সময়ের মতোই পূর্ণ চাপ দিয়ে পড়াশোনা করানো কিংবা সিলেবাসের তেমন কিছুই না পড়িয়ে মূল্যায়ন করে ফেলা- এ দুটোর কোনোটাই সুবিবেচনার পরিচয় হবে না।
যোগাযোগশাস্ত্রের যুক্তিতে বলতে পারি, অনলাইন বা দূরশিক্ষণ কিংবা এ ধরনের বিকল্প পাঠদান কখনোই শ্রেণিকক্ষের পাঠদানের সুযোগ্য বিকল্প নয়- জরুরি প্রয়োজনে সাময়িক বিকল্প বা স্বাভাবিক সময়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সহায়ক মাত্র। তাই যত চেষ্টাই আমরা করি না কেন, চলমান অবস্থায় স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রমের কিছু ক্ষতি যে হবেই, তা মেনে নিতেই হবে; ক্রমান্বয়ে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। এই সময়টিতে তাই শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে অনলাইন ক্লাস-অ্যাসাইনমেন্ট-পরীক্ষা দিয়ে জর্জরিত করা ঠিক হবে না; এতে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই সময়ে আমাদের উচিত হবে নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেওয়া। সরাসরি অ্যাকাডেমিক চাপ কম দেওয়া দরকার। পাঠ্য বা রেফারেন্স বইয়ের পড়াশোনা সীমিত রেখে সিলেবাসের বিষয়গুলোর সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ কিন্তু বিকল্প ও বিনোদনমূলক উপায়ের সঙ্গে তাদের যুক্ত করা দরকার। শিক্ষার্থীদের সিলেবাস বা পাঠের বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নাটক বা চলচ্চিত্র দেখা, গান শোনা ও বই পড়াকে উৎসাহিত করা দরকার। এর বাইরেও সহজ-সরল ও সুস্থ বিনোদন দেয়- এমন অন্য নাটক-সিনেমা-গান-বই পড়তে উৎসাহিত করা খুব দরকার। পরিবারের সঙ্গে কাজ-কর্মে যুক্ত থাকতে বলা ও নিজের বাড়তি যত্ম নেওয়ার বিষয়টিকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। সবচেয়ে বড় কথা, শিক্ষকেরা যদি অ্যাকাডেমিক প্রয়োজনের বাইরেও নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা সবসময় উৎসাহিত ও উজ্জীবিত বোধ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কেবল ঘরে থেকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেই হবে না, শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতাকেও গুরুত্ব দিতে হবে- দুর্ভাগ্যজনকভাবে যা আমরা প্রায়ই উপেক্ষা করতে পছন্দ করি।
আমার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ও দায়িত্বশীল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার বার আমাদের শিক্ষকদের বলছে, বাড়তি চাপ তৈরি না করে শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর রাখতে ও তাদেরকে অল্প অল্প পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল কিছুতে ব্যস্ত রাখতে যেন তারা হতাশ হয়ে না পড়ে। এই দায়িত্বশীলতা ও সার্বিক সহযোগিতার জন্যে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এবং অন্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয় একইভাবে ভাবছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পাশাপাশি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এমন সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণই প্রত্যাশা করছি।
এই দুর্যোগের মুখোমুখি হওয়ার পর আমরা শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদানের বিকল্প উপায় ভাবছি, কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করছি। তবে এই অভিজ্ঞতা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সহজলভ্য বা সবসময় ব্যবহৃত- এমনটি নয়। ফলে এই দুর্যোগের দিনে আমরা কেবল এই বিকল্প শিখছি এবং শেখার পাশাপাশি প্রয়োগের চেষ্টা করছি। অথচ অনেক দেশ নানা কারণেই অনলাইন বা দূরশিক্ষণকে আরও আগে থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক মনে করেছে এবং তাই আত্মস্থ করেছে। যানজট এড়ানো, অফিসের প্রতিদিনের খরচ কমানোসহ নানা কারণে অনেক দেশ আরও অনেক আগে থেকেই নানা সময়ে স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদে বাড়ি থেকে অফিস বা জরুরি মিটিংগুলো অনলাইনে (ভিডিও কনফারেন্স) সেরে নেওয়ার চর্চা করে আসছে। ফলে তাদের অনেকেরই এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম বা অফিস চালিয়ে নিতে খুব বেশি বেগ পেতে হচ্ছে না। তাই আগে না হলেও অন্তত এই করোনাকালীন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমাদের উচিত হবে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্যোগ বা অন্য প্রয়োজনে এ ক্ষেত্রে নিজেদের যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত ও প্রস্তুত করে তোলা। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তি (যেমন : প্রয়োজনীয় ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ) সহজলভ্য করা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার মতো দক্ষ করে তোলা এবং এজন্যে সহায়ক অবকাঠামো নিশ্চিত করাও দরকার।
এই দুর্যোগের সময়ে শিশুদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সম্প্রতি সরকারি উদ্যোগে ‘ঘরে বসে শিখি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্কুলপড়ুয়া শিশুদের জন্যে টেলিভিশনে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, তবে এ ধরনের ‘ভিডিও টিউটোরিয়াল’ বা অডিও-ভিজুয়্যাল কনটেন্ট একেবারে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার নানা পর্যায় পর্যন্ত সহজলভ্য থাকা দরকার এবং তা দরকার কেবল দুর্যোগকালের জন্যে নয় বরং সবসময় ব্যবহারের জন্যে।
এই দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও সাধ্যমতো নানা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম যতটা সম্ভব চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন; এজন্যে শিক্ষকরা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের আরও বেশি সাধুবাদ জানাতে চাই। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের শিক্ষকদের যথাসাধ্য সহযোগিতা করছে; অ্যাকাডেমিক কোনো কাজ দিলে বার বার তাগাদা দেওয়া ছাড়াই তারা সময়মতো তাতে সাড়া দিচ্ছে এমনকি নিজেরা কাজ চেয়ে নিচ্ছে। এই অনলাইন বা দূরশিক্ষণে আগে থেকে অভ্যস্ত না হওয়ায় কোনো ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্ট বা পড়া বুঝতে সমস্যা হলে ফোন করে বা ইমেইলে বার বার প্রশ্ন করে জেনে নিচ্ছে। প্রযুক্তির ব্যবহারে বন্ধুদের সহায়তা করছে। আমার স্থির বিশ্বাস, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটছে না।
আমার প্রত্যাশা, এই দুর্যোগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও বেশি প্রযুক্তিবান্ধব, দুর্যোগসহনীয় এবং শিক্ষার্থীবান্ধব করে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবো। এর পাশাপাশি আমাদের সবার মধ্যে সচেতনতার এই বোধ বাড়ানো দরকার, যেকোনো দুর্যোগে সবার আগে দরকার শিক্ষার্থীদের (এবং অন্য সবার) শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা; পড়াশোনা বা অন্য সবকিছু এর পর।
মনে রাখতে হবে, আয়োজনসর্বস্ব না হয়ে জরুরি প্রয়োজনগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
[লেখাটি দৈনিক আমাদের সময়-এ ১২ এপ্রিল ২০২০ প্রকাশিত হয়।]