By সজীব সরকার
সেক্সটরশন (sextortion)
Media School June 21, 2024
এমন অপরাধ বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। ছবি : সংগৃহীত।
খুব সহজ কথায় বললে- সেক্সটরশন মানে হলো কোনো ব্যক্তির নগ্নতা বা যৌনতার ছবি বা ভিডিও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পরিচিতজনদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি বা ভয় দেখিয়ে আর্থিক বা অন্য কোনো সুবিধা আদায়ের চেষ্টা।
এটি মূলত অনলাইনভিত্তিক ব্ল্যাকমেইলিং এবং আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ পূর্বপরিচিত, অল্পপরিচিত বা একেবারেই অপরিচিত - এমন যে-কারো দ্বারা ঘটতে পারে। বিভিন্ন দেশের গবেষণা এবং আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের অপরাধের হার বিশ্বজুড়েই ক্রমবর্ধমান। নানা প্রতিবেদনের তথ্যে দেখানো হয়েছে, কিশোরদের মধ্যে এমন অপরাধের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
‘Sex’ ও ‘Extortion’ - ইংরেজি ভাষার এ দুটি শব্দ একসঙ্গে যোগ করে sextortion শব্দটি তৈরি করা হয়েছে। Sextortion-কে ঠিক পোর্টম্যান্টো (portmanteau) শব্দ হয়তো বলা চলে না; তবে, ধারণার দিকে থেকে অনেকখানিই কাছাকাছি। Sextortion-কে ইংরেজিতে সাধারণত ‘financially motivated sexual extortion’ হিসেবে ব্যাখ্যা হয়। অবশ্য, সবসময় যে শুধু আর্থিক সুবিধাই দাবি করা হয়, তা নয়; কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, নতুন করে নগ্নতা বা যৌনতা দাবি করা হয়। এসবের বাইরে অন্য কোনো সুবিধাও দাবি করা হতে পারে।
এমন ঘটনা প্রায়ই দেখা যায় যে, কারো বর্তমান বা সাবেক ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা একেবারেই অপরিচিত কেউ অন্য কারো নগ্ন দেহের ছবি বা ভিডিও ধারণ করে। অথবা, যৌনতার সময় এমন ছবি বা ভিডিও ধারণ করে। ছবি বা ভিডিও ধারণের ব্যাপারটি কখনো ব্যক্তির (ভিকটিম) জ্ঞাতসারে অর্থাৎ তার সম্মতি নিয়ে যেমন হতে পারে, তেমনি তার অজান্তে বা ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করেও হতে পারে। পরে ওইসব ছবি/ভিডিও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দেওয়ার ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের কাছ থেকে আর্থিক বা অন্য কোনো সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
বলিউডের একটি চলচ্চিত্র থেকে একটি উদাহরণ এখানে মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। চলচ্চিত্রে দেখানো হয়, একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের দূরে কোথাও সফরে নিয়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে এক মেয়ে শিক্ষার্থী বাথরুমে গোসল করার সময় এক ছেলে শিক্ষার্থী গোপনে সেই দৃশ্যের ভিডিও তার ফোনে ধারণ করে। পরে ছেলেটি একদিন মেয়েটির বাসায় গিয়ে হাজির হয় এবং তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাপ দেয়। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় ছেলেটি তখন তার ফোনে ধারণ করা ওই ভিডিওটি মেয়েটিকে দেখায় এবং রাজি না হলে সেটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এই যে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করা হলো, এটিই হলো সেক্সটরশন।
বিভিন্ন দেশেই এমন ব্ল্যাকমেইলের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এসব ঘটনার প্রভাব নানা রকমের হতে পারে। বিশেষ করে কম বয়সীরা সেক্সটরশনের ভিকটিম হলে এর প্রভাব অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কম বয়সীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত কিংবা বাংলাদেশ - সব দেশেই এর প্রভাব প্রায় একই রকম; গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, কম বয়সী ভিকটিমদের মধ্যে অনেকেই আত্মহত্যা করে। যারা বেঁচে থাকে, তারা সবসময় ট্রমায় ভোগে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যেখানে নগ্নতা বা যৌনতা নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করাও একটি ট্যাবু, সেসব দেশে পরিণত বয়সের ব্যক্তিরা ভিকটিম হলে তাদের ওপরও এমন নিদারুণ প্রভাব ঘটে। অতিরিক্ত রক্ষণশীলতার কারণে পারিবারিক ও সামাজিক চাপ এবং তথাকথিত ‘লজ্জা ও মানহানির’ যন্ত্রণার কারণে বড়দের মধ্যেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে, যেখানে এমন ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। এমনও ঘটনা রয়েছে, কাউকে ধর্ষণের সময় এর ছবি/ভিডিও ধারণ করে পরে ব্ল্যাকমেইল করে তাকে আবারো ধর্ষণ করা হয়েছে অথবা আর্থিক কিংবা অন্য কোনো সুবিধা আদায় করা হয়েছে। এসব ঘটনায় কোনো কোনো ভিকটিম আত্মহত্যাও করেছে।
কিছুদিন আগে ‘হৃদয়’ নামে এক ‘টিকটকার’ ধরা পড়ার পর জানা গিয়েছিলো, টিকটকে সে নানা কৌশলে কিশোরীদের প্রলুব্ধ করতো। ওই কিশোরীদের বিভিন্ন ‘পার্টিতে’ ডাকা হতো যেখানে নানা কৌশলে তাদের নেশাদ্রব্য খাওয়ানো হতো এবং জোর করে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হতো। যৌনতার এসব ঘটনা ভিডিও করে রাখা হতো এবং সেগুলো দেখিয়ে ওই কিশোরীদের নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করা হতো। কয়েকজন ভিকটিমের অভিযোগের পর পুলিশের অভিযানে ওই টিকটকার ধরা পড়ে।
বেশি ঝুঁকিতে যারা
নারী-পুরুষ বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সবাই এবং শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সের ব্যক্তিই সেক্সটরশনের শিকার হতে পারে। তবে, সাধারণভাবে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের নারী ও শিশুরা এসব ঘটনার ভিকটিম হয় অন্যদের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে বসবাসের এলাকা, নগ্নতা বা যৌনতা চর্চার ধরন ও স্থান, বন্ধু বা পরিচিতজনদের ব্যক্তিগত প্রবণতা এবং এমন আরো কিছু চলকের ওপর এসব অপরাধের সম্ভাব্যতা নির্ভর করতে পারে।
সেক্সটরশন ‘রিভেঞ্জ পর্ন’ নয়
খানিকটা কাছাকাছি ধরনের মনে হলেও সেক্সটরশন আর রিভেঞ্জ পর্ন (revenge porn) পুরোপুরি এক নয়। রিভেঞ্জ পর্নের ক্ষেত্রে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে কিছু আদায়ের উদ্দেশ্য সাধারণত থাকে না; বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পর সাবেক সঙ্গী কেবল ভিকটিমকে সবার কাছে বিব্রত বা হেনস্তা করার উদ্দেশ্যেই এ ধরনের ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। নাম থেকেই অনুমান করা যায়, এটি এক ধরনের ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার মতোই। বাংলাদেশে খ্যাতিমান একজন নারী অভিনেতার এমন একটি ভিডিও তার সাবেক বয়ফ্রেন্ড অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছিলো যা দেশজুড়ে বেশ আলোড়ন তোলে। তাদের দুজনের যৌনতার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে উদ্দেশ্য ছিলো মূলত সাবেক প্রেমিকাকে অপদস্থ করা। এটি রিভেঞ্জ পর্ন। এ ধরনের ঘটনার খবর গণমাধ্যমে হরহামেশাই দেখা যায়।
সেক্সটরশন থেকে সুরক্ষার উপায়
প্রথম কথাই হলো, একজন ব্যক্তি সেক্সটরশনের শিকার হবেন কি না- তা সবসময় আগেই নিশ্চিতভাবে জানার বা বোঝার কোনো উপায় আসলে নেই। আর, নিশ্চিত সুরক্ষারও কোনো নিশ্চয়তা দেওয়ার উপায় নেই। তবে, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে সেক্সটরশনের বা রিভেঞ্জ পর্নের মতো ঘটনার সম্ভাব্যতা কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে :
- গোপনে ছবি বা ভিডিও ধারণের সুযোগ রয়েছে- এমন স্থানে সতর্ক থাকা। পার্ক, হোটেলের কক্ষ, পাবলিক টয়লেট - এমন স্থানে নগ্নতা, সঙ্গীর সাথে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা বা যৌনতার ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার।
- অনলাইন ম্যারেজ মিডিয়া, ডেটিং সাইট কিংবা ফেসবুক, টিকটক বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো নানা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনেকে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে। অনেক সময় ‘সম্পর্কের’ খাতিরে বা অন্য প্রয়োজনে কোথাও ডেকে নিয়ে জোর করে এমন ছবি বা ভিডিও ধারণ করা হতে পারে, যা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা সম্ভব। এমন অনেক ঘটনা চারপাশে ঘটছে। তাই, অনলাইনের এসব প্ল্যাটফর্মে কার সাথে ও কী ধরনের যোগাযোগ বা সম্পর্ক হচ্ছে, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে, সদ্য পরিচিত হওয়া ব্যক্তিদের মনোভাব ভালোমতো খেয়াল করতে হবে। তারা কী ধরনের প্রশ্ন করছে, কী ধরনের মন্তব্য করছে অথবা কী উদ্দেশ্যে যোগাযোগ বা সম্পর্ক স্থাপন করেছে- এসব ব্যাপারে সবসময় সজাগ থাকা জরুরি।
- নানা অজুহাতে কেউ নগ্ন বা একান্ত ব্যক্তিগত/অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলতে চাইতে পারে। অনেকে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেনজার বা ইমেইলের মতো মাধ্যমেও এগুলো চাইতে পারে। এমন ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
- মোবাইল ফোন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মের নানা প্রোফাইল বা অ্যাকাউন্টের সেটিংসে প্রাইভেসি বা প্রটেকশন অপশনগুলো বুঝে নিয়ে যতোটা সম্ভব নিরাপদ থাকার চেষ্টা করা দরকার। পাসওয়ার্ড সেট করার সময় এগুলো জটিল করা দরকার যেন কেউ সহজেই অনুমান বা হ্যাক করতে না পারে। মাঝে মাঝে পাসওয়ার্ড বদলও করা উচিত।
- মোবাইল ফোন চুরি, ছিনতাই বা হারিয়ে যাওয়া খুব নিয়মিত ঘটনা। তাই, এ ধরনের ডিভাইসে কী ধরনের ছবি বা ভিডিও রাখা হচ্ছে, এ ব্যাপারে নিজেকেই সতর্ক হতে হবে।
- সবচেয়ে বড় কথা, অন্যের হাতে পড়লে বিব্রত বা লজ্জিত হতে হবে- এমন ছবি বা ভিডিও নিজে তোলার আগেও ভালো করে ভেবে নেওয়া দরকার। কোনো কারণে তুললেও তা এমন কোথাও রাখা উচিত নয় যা সহজেই অন্যের হাতে পড়তে পারে।
- শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী উপযুক্ত আলোচনার মাধ্যমে তাদের সতর্ক করা উচিত। তারা কাদের সাথে মিশছে এবং কী ধরনের যোগাযোগ বা সম্পর্ক রাখছে- এসব ব্যাপারে বড়দেরই সবসময় সজাগ থাকতে হবে।
মনে রাখতে হবে, সবসময় উচিত পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীসহ সবার সাথে মুক্ত, উদার, বিশ্বস্ত ও ইতিবাচক সম্পর্কের চর্চা রাখা। তাহলে, এসব ঘটনার ভিকটিম হলে নিজেকে একা মনে হবে না; সহজেই সবার সাথে এ নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব হবে। তাই, ইতিবাচক সম্পর্কের এমন চর্চা সবসময় বজায় রাখার চেষ্টা করা দরকার।
সেক্সটরশনের ভিকটিম হলে করণীয়
এমন ঘটনা ঘটলে এটি নিজের মধ্যে চেপে রাখা ও একা থাকা ঠিক হবে না। এ সময় পরিবারের সদস্য বা বিশ্বস্ত বন্ধুর সাথে কথা বলা এবং তাদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখা জরুরি। এতে পুরো চাপ একা বহনের বা পুরো চাপ একা সামলানোর প্রয়োজন পড়বে না। আর, নিজের জন্য ক্ষতিকর বা ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকিও অনেক কমবে। প্রয়োজন মনে হলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা এমন অন্য কোনো বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিতে হবে।
- কেউ এভাবে ব্ল্যাকমেইল করলে ‘চাপে পড়ে’ তার দাবি অনুযায়ী তাকে এমন আরো ছবি/ভিডিও, অর্থ বা অন্য কোনো সুবিধা তাৎক্ষণিকভাবে দিয়ে ফেলাটা ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ও অভিজ্ঞ কারো সাথে পরামর্শ করা দরকার।
- ব্ল্যাকমেইল যে করা হচ্ছে, সে তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। পাঠানো মেসেজ বা ইমেইল ‘ডিলিট’ করে দেওয়া ঠিক হবে না; মূল বার্তাগুলো রাখার পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা হিসেবে সম্ভব হলে স্ক্রিনশটও নিয়ে রাখা দরকার।
- এ ধরনের ঘটনা দেশে-বিদেশে অনেক ঘটছে। অনেকেই ধরাও পড়ছে। তাই, বিচলিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত না নিয়ে পুলিশকে জানানো উচিত এবং দরকার হলে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়াতেও যেতে হবে।
- সবসময় মনে রাখতে হবে- যা ঘটে গেছে, তা ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়; সামনে এর চেয়ে আরো খারাপ কিছু যেন না হয়, আপাতত এটুকুই শুধু করণীয়। মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে; আতঙ্কিত হলে চলবে না। ভুলে গেলে চলবে না যে, আতঙ্কিত হয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারালে বা আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিলে বিষয়টির আসলে সমাধান হবে না; এতে বরং নিজের ও পরিবারের আরো অনেক বড় ক্ষতি করা হয়। এভাবে কেউ ব্ল্যাকমেইল করলে বা এমন ছবি/ভিডিও ছড়িয়ে দিলেই এতে জীবনের মূল্য কমে যায় না; জীবনের মূল্য এসব ঘটনার চেয়ে অনেক বেশি।
- এ ছাড়া, অন্য কেউ এমন বিপদে পড়লে বা পড়ার আশঙ্কা দেখলে তাকে তৎক্ষণাৎ সতর্ক করা দরকার। প্রয়োজন মনে করলে পুলিশকেও সে তথ্য দেওয়া উচিত। আর, এসব ঘটনায় ভিকটিমকে দোষারোপ বা নিন্দা না করে বরং তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে এ সমস্যা থেকে উত্তরণে তার সহযোগী হতে হবে।
রিভেঞ্জ পর্নের ক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য করণীয়
সেক্সটরশনের মতো রিভেঞ্জ পর্নের ক্ষেত্রেও সুরক্ষার জন্য প্রথমত সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকা দরকার। আর, এমন ঘটনার ভিকটিম হলে আবেগতাড়িত হয়ে কোনো ভুল বা ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরিবার বা বন্ধুর সাথে আলোচনা করা এবং পুলিশকে জানানোর মাধ্যমে আইনগত সহায়তা নেওয়ার ব্যাপারটি ভাবতে হবে। ভিকটিমকে দোষারোপ না করে বরং তার পাশে থাকতে হবে।
জীবনের ক্যানভাস অনেক বড়; এ ধরনের একটি ঘটনা বা একটি ‘ভুলের’ কারণে গোটা জীবনকে অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যে এ ধরনের প্রতারণা বা অপরাধ করে, লজ্জা বা অপমান আসলে তার; যে ভিকটিম, তার নয়। এ কথা মনে রেখে জীবনের সব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সেই অভিজ্ঞতাগুলোর ভিত্তিতেই জীবনকে আরো গুছিয়ে নিতে শেখাই কাম্য। এটিই ‘লাইফ লেসন’; কিংবা বলা যেতে পারে- ‘দ্য জার্নি অব লাইফ’।