Media School

Dhaka    Saturday, 23 November 2024

By সজীব সরকার

‘পাঠকের মৃত্যু’র সত্য-মিথ্যা আর ‘দ্য লাই’-এর পাঠোদ্ধার

Media School June 17, 2020

ব্রিটিশ অভিযাত্রী, সৈনিক, রাজনীতিক ও সাহিত্যিক স্যার ওয়াল্টার র‌্যালে (১৫৫২/৫৪-১৬১৮) ছিলেন বেশ একরোখা গোছের। নিজে ইংল্যান্ডের অভিজাত এক পরিবারের সন্তান হলেও যে তথাকথিত আভিজাত্যের মধ্যে ইংল্যান্ড আদর্শিক পথ খুঁজে নিয়েছে, তার আড়ালে সমাজে বিরাজমান শঠতা ও অন্তঃসারশূন্যতাকে কটাক্ষ করতে তিনি ছাড়েননি। অবশ্য এই একরোখা স্বভাবের জন্যে চরম মূল্যও তাঁকে দিতে হয়েছে নিজের জীবনের বিনিময়ে। রানি এলিজাবেথের সাথে প্রেম ও রানির পরবর্তী প্রেমিককে তাচ্ছিল্যের মাধ্যমে ক্ষেপিয়ে তোলেন তিনি; নানা কারণে ঈর্ষান্বিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে শুরু থেকেই ‘নিষ্ঠুর রাজা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সম্রাট প্রথম জেমস র‌্যালের শিরশ্ছেদ ঘটান।

তৎকালে ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে যাপিত জীবনে মিথ্যার বেসাতিকে সমালোচনা করে তিনি ‘মিথ্যা’ (দ্য লাই) শিরোনামে ১৩ স্তবকের একটি কবিতা রচনা করেন। ঘটনাচক্রে সেই কবিতাখানি আমার পড়বার সুযোগ হয়; আমি তখন স্কুলের প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্র। কোনো এক মাসের শেষে পুরোনো পত্রিকা ও বইখাতা সের দরে বেচে দেবার আয়োজন চলছে। যার কাছে বিক্রির আয়োজন চলছে, তিনি আমাদের নিয়মিত ক্রেতা। পুরোনো কৌতূহল অনুযায়ী সেদিনও আমার চোখ সেই ক্রেতার পুরোনো কাগজে ভর্তি ঝুড়িতে ‘নতুন কিছু’ খুঁজে বেড়াচ্ছে।

সেদিন আমার চোখ আটকে গেল ইংরেজি কবিতার একটি সঙ্কলনে; ছেঁড়া-ময়লা-স্যাঁতসেঁতে সেই সঙ্কলনের এমনই দুর্দশা যে, ওইদিন তিনি কোনো ‘বিনিময়মূল্য’ না নিয়ে বইখানা এমন উদারভাবে আমাকে ‘সম্প্রদান কারকে’ দান করলেন, যেন ঝুড়ি থেকে সেটিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে পারলেই তিনি বাঁচেন! বইটি তিনি আমার কাছে গছিয়ে দিয়ে বাঁচলেন, তবে আমি পেয়ে গেলাম আমার অনেকদিনের ‘খোরাক’। সেটিই আমার প্রথম ও এখন অবধি একমাত্র ‘লাভজনক’ বিনিময়!

প্রাইমারিতে পড়ি; বিশ্বসাহিত্য ও ইতিহাস সম্বন্ধে কেবল পড়তে শুরু করেছি। ফলে স্কুলের বই পড়ায় যতোটা বৈরাগ্য, অন্যসব বই পড়তে ততোটাই বাড়াবাড়ি রকমের উৎসাহ। নতুন নতুন বই কিনে পড়ার সঙ্গতি তখন আমাদের পরিবারের নেই। তবে পড়াকে উৎসাহিত করতে বাবা মাঝে-মধ্যে শিশু-কিশোরসুলভ বই বা সাময়িকী এনে দিতেন; তবে তা যথেষ্ট ছিলো না। তাই মূলত পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়েই বই পড়তে হতো। পরে আমি আরেকটি বিকল্প খুঁজে নিয়েছিলাম; পুরোনো কাগজপত্র কিনতে যিনি বাসায় আসতেন, তার ঝুড়ি ঘেঁটে আমার যা পছন্দ হতো, তার সঙ্গে অদল-বদলের চেষ্টা করতাম।

ইংরেজি কবিতার ওই সঙ্কলন একেবারে ‘ফাও’ পেয়ে আনন্দের আতিশয্যে আমার তখন বইটি পড়ার উৎসাহ বেড়ে গেল শতগুণ। স্কুলের পড়া শিকেয় তুলেছি; এমনকি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে স্কুলভবনের নানা জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে কদিন ধরে বইটি পড়ছি। বলা বাহুল্য- এলিজাবেথান, অগাস্টান, ক্যারোলিন, শেক্সপিয়ারিয়ান, রোম্যান্টিক যুগের সেসব ধ্রুপদী কবিতার তখন রীতিমতো একবর্ণও বুঝি না; কিন্তু প্রাচীন ইংরেজি বা ল্যাটিন-ঘেঁষা কদাচিৎ পরিচিত সেইসব শব্দবন্ধ কিছু না বুঝে কেবল পড়ে যাওয়াটাও অন্তরাত্মায় একটা রোমাঞ্চকর অনুভূতি জাগাতো।

যখন পড়লে বুঝতে পারবো, বইটি তখন আবার পড়বো ভেবে আমৃত্যু সংগ্রহে রাখবো বলে যেদিন স্থির করলাম, তার হপ্তাখানেকের মধ্যেই সেই বইখানা যথারীতি উধাও। ‘এ প্রকৃতিরই বিধান’ বলে নিজেকে স্বান্ত্বনা দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করলাম।

বইটি হারানোর মর্মপীড়া যখন লঘু থেকে লঘুতর হতে লাগলো, তখন কাকতালীয়ভাবে সেটির জরাজীর্ণ একটি ফর্মা হঠাৎ আবিষ্কার করলাম সেই বছরের শেষে স্কুলের পরীক্ষার পর বাতিলকৃত ইংরেজি বইয়ের পাতার ভাঁজের মধ্যে। পাতাগুলো খুঁজে পেয়ে, কেন জানি না, ভয়ে আঁতকে উঠলাম। বই হারানোর পুরোনো ব্যথাটা আবারো তরতাজা হয়ে উঠলো। পরে মনে পড়লো, বিধ্বস্ত বইটি থেকে ওই এক ফর্মা একদিন খসে পড়েছিলো; সেটি কুড়িয়ে স্কুলের ইংরেজি বইয়ের ভাঁজের মধ্যে রেখেছিলাম।

ওই পৃষ্ঠাগুলো ফেলে দিতে গিয়েও ফেললাম না। মনে হলো, পুরো বই পড়ে শেষ করতে পারিনি; ‘হারাধনের’ শেষ সম্বল এখন যে এক ফর্মা অবশিষ্ট রয়েছে, সেটুকু অন্তত পড়ে ফেলা উচিত। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার উপদ্রব শেষ; নিশ্চিন্ত মনে পড়তে বসে গেলাম।

দু-তিন পাতা উল্টাতেই পেলাম স্যার ওয়াল্টার র‌্যালের কবিতা : ‘দ্য লাই’। সে সময়ের কবিতাগুলোর ছন্দবিন্যাসে যেমন কেমন একটা মিল ছিলো, ওইসব কবিতার শিরোনাম নির্মাণকৌশলেও তেমনি একটা সাযুজ্য ছিলো বলে আমার মনে হতো; কিন্তু এই শিরোনামটা নির্মাণকৌশলের দিক থেকে অন্যগুলো থেকে কিছুটা আলাদা- সেই গতানুগতিকতার বাইরে। ‘কখকখগগ’ ছন্দে বিন্যস্ত এই কবিতার নির্মাণ কৌশল অবশ্য ব্যতিক্রম ছিলো না; তবে বিষয়ের বিচারে সেই কবিতা ছিলো সংখ্যালঘিষ্ঠেরই অন্তর্গত। কবিতাটি পড়লাম। বার বার করে পড়ছি, কিন্তু মর্মার্থটা সম্পূর্ণ ধরতে পারছি না। কিন্তু এই কবিতাটিই কেন জানি না আমাকে রীতিমতো অস্থির করে তুলেছে; এর মূল অর্থ আমাকে উদ্ধার করতেই হবে!

এর দু-তিন বছর পরের কথা; প্রাইমারি পাস করে আমি ততোদিনে হাইস্কুলের ‘গর্বিত’ ছাত্র। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে তখন অঘোষিত (কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য স্বঘোষিত) প্রতিযোগিতা : কোন বিষয়ে কোন স্কুলের কোন শিক্ষক সেরা। এই ‘সেরা’র মাপকাঠি অবশ্য শেষপর্যন্ত ছিলো কেবল সস্তা জনপ্রিয়তা! যা-ই হোক, সেই প্রতিযোগিতার কল্যাণে তখন ইংরেজির দু-চারজন ‘ডাকসাইটে’ শিক্ষককে চেনার সৌভাগ্য হয়েছে। তাদেরই মধ্যে স্বঘোষিত ডাকসাইটে এক শিক্ষকের কাছে একদিন আবদার করে বসলাম, ‘দ্য লাই’ কবিতাখানি একবার আমায় বুঝিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যার কাছে মাইনে দিয়ে ‘প্রাইভেট’ পড়ি না, তার কাছে এমন ‘মামাবাড়ির আবদার’ করা যে কতো বড় নির্বুদ্ধিতার নিদর্শন, তিনি আমায় সেটি বুঝিয়ে দিতে অবশ্য কোনো কার্পণ্য করলেন না। ওই শিক্ষকের ‘আড়তে’ বিরাজমান কয়েক ডজন ছাত্র-ছাত্রীর সামনে অপমানিত হয়ে লজ্জায় কম্পমান পদযুগলের ভরসাতেই বাড়ির পথে হাঁটা ধরলাম।

পুরো একটা সপ্তাহ গেলো সেই অপমান গায়ে কিছুটা সয়ে নিতে। মাথায় হঠাৎ জেদ চাপলো; নিজেই এর অর্থ উদ্ধার করবো। কাগজ-কলম নিয়ে বসে গেলাম কবিতাটি অনুবাদ করতে। একে একে ১৩টি স্তবক নিজের মতো করে বাংলা করলাম। কতোটা ঠিক হলো আর কতোটা ভুল হলো, তা বিচারের আবদার নিয়ে অবশ্য কারো কাছে যাওয়ার সাহস আর হলো না।

ওই কবিতার দশম স্তবকটি যেন পুরো কবিতার সারমর্ম; প্রায় দুই যুগের ব্যবধানে কবিতাটির অন্যান্য স্তবক বা সেসবের প্রামাণ্য-বিচার্য আজ প্রায় সবই ভুলে গেছি, অদ্ভুতভাবে তবু দশম স্তবকটি মনে রয়ে গেছে আজো। এই তো সেদিন, রাতে ঘুম আসছিলো না; বিভিন্ন ভাষার ধ্রæপদী কবিতাগুলো অনেকদিন পর আবারো ইন্টারনেটে ঘাঁটতে শুরু করলাম। এর মধ্যে কাকতালীয়ভাবে মনে পড়ে গেলো দুই যুগেরও বেশি সময় আগে পরিত্যক্ত কাগজপত্রের ঝুড়িতে খুঁজে পাওয়া সেই বইয়ের কথা; এর সাথে মনে পড়লো স্যার ওয়াল্টার র‌্যালের ‘দ্য লাই’। পুরোনো সেই ‘পাঠক’ নিজের মধ্যে আবার যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। গল্পকার ‘বনফুল’ দাবি করেছিলেন, সময়ের ব্যবধানে পাঠকের মৃত্যু ঘটে। কিন্তু পুরোনো তৃষ্ণা যখন আনুষ্ঠানিক কোনো আয়োজন ছাড়াই দরোজায় কড়া নাড়লো, তখন দেখলাম, আমার মধ্যকার শৈশবের সেই অবোধ পাঠক মরেনি; এখনো সে দারুণভাবে জীবিত!

ইন্টারনেটে কবিতাটি বের করে পড়তে শুরু করার পর দশম স্তবকে এসে সেখানেই আটকে গেলাম; আর পড়া এগোয় না। আমার কাছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়া সেই স্তবকের কী বাংলা করেছিলাম প্রায় দুই যুগ আগে, সেটি মনে করার চেষ্টা করতে লাগলাম নিজের অজান্তেই। আমার দুর্বল স্মরণশক্তি আপাতত এই শহরখ্যাত; আর কদিন পর দেশখ্যাত হয়ে গেলেও অবাক হবো না। তবু, শিশুকালের সেই অনুবাদ এতোদিন পরে এসেও মনে পড়লো; একেবারে হুবহু।

বাঙালি সমাজে প্রচলিত রয়েছে, এ অঞ্চলের ছেলেরা প্রেমে পড়ামাত্রই কবি হয়ে ওঠে; প্রেমে পড়লে অন্তত একটি কবিতা সে লিখবেই। অবশ্য প্রেমে না পড়লেও তারা লেখে বটে; কখনো প্রেমের অপেক্ষায় থাকার কবিতা, কেউ বা প্রেম জুটাতে ব্যর্থ হওয়ার কবিতা। কেউ লেখে কাল্পনিক প্রেমিকাকে নিয়ে; প্রেম ভাঙ্গলেও লেখে অনেকে। আমার অবশ্য কবিতা লিখতে প্রেমে পড়া বা প্রেমে ব্যর্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি; সেই শৈশবেই মনে হয়ে গিয়েছিলো, প্রেমের অভিজ্ঞতা ছাড়াই আমি ‘কবিতা’ লিখতে জানি। ফলে কালবিলম্ব না করে নিজেকে ‘কবি’ দাবি করে শৈশবেই ‘কবিতা’ লিখতে শুরু করে দিয়েছিলাম।

কয়েক বছর বেশ নিষ্ঠার সাথেই চলে এই ‘কবিপনা’। সে সময়ে বিভিন্ন কাগজে কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে; সেই সামান্য পরিচিতিটুকুকে তখন নিজের ‘কবিখ্যাতি’ ভেবে বেশ আনন্দই হতো! সেই আনন্দের আতিশয্যে নিজের ভেতরকার কবিপ্রবরটি মাঝে-মধ্যেই বেশ প্রবল হয়ে উঠতো। আর যখনই নিজের মধ্যে এই ‘কবিভাব’ প্রবল হয়ে উঠতো, তখন হাতের কাছে যা পেতাম, তাতেই লিখতে বসে যেতাম। হাতের কাছে কাগজ না পেলে স্কুলের বই এমনকি সাদা মোজা, পরীক্ষার রেজাল্ট কার্ড, বাবার রুমাল, ঘরের দেয়াল, টিনের চাল বা নিদেনপক্ষে নিজের হাত-পা-পেট-পিঠ... যেখানে যতোটা পারি, লিখতেই হতো; মনে যা আসছে, তা না লিখলে শান্তি পেতাম না। কিছুদিন গেলে সত্যিকার কবিতা পড়ার পর এবং কবিতা নিয়ে কিছু পড়াশোনার পর যখন বোধোদয় ঘটলো, এই ক’বছর কবিতা ভেবে যতোসব অখাদ্য লিখে সময় নষ্ট করেছি, পণ্ডশ্রম করেছি- সেদিন থেকে ‘কবিগিরি’ ক্ষ্যান্ত দিলাম।

সংস্কৃতিমনা বাবা-মায়ের বদৌলতে পরিবারের মধ্যে বিশ্বসাহিত্য পড়া ও শিল্প-সাহিত্য চর্চা করার মতো পরিবেশ ছিলো। ফলে নানান দেশের নানান ভাষার সাহিত্য ও বিভিন্ন সময়ের শিল্প সম্বন্ধে জানবার আগ্রহ ও চেষ্টা ছিলো আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে। এরই সূত্রে অগুণতি কবিতা-গল্প-উপন্যাস পড়েছি; সেগুলোর অনেককিছুই আজো পড়তে ভালো লাগে। সেই শৈশব থেকে শুনে আসা কতো গান আজো শুনে যাচ্ছি; বিরক্তি জাগে না- বরং প্রতিবারই নতুন করে ভালো লাগছে। আবার এই সময়ে এসে পড়া নতুন অনেক সাহিত্য কিংবা নতুন শোনা কোনো গান দ্বিতীয়বার হাতড়াতে আগ্রহ জাগে না। অনেক আগে পড়া বা শোনা অনেককিছুও মনকে ছুঁতে পারেনি বলে সেই কবে ভুলে গেছি!

সাহিত্য যদি চিরঞ্জীব হয়, তাহলে এই জীবন বা মৃত্যু আসলে পাঠকের না লেখকের, তা কে নির্ণয় করবে?

শেষ করার আগে পাঠকদের কাছে ‘দ্য লাই’-এর সারমর্ম তুলে ধরছি :

 

"Tell fortune of her blindness

Tell nature of decay;

Tell friendship of unkindness

Tell justice of delay;

And if they reply;

Then give them all the lie."

                           - The Lie, stanza 10

 

প্রসঙ্গক্রমে আমার শৈশবে করা এ অনুচ্ছেদের দুর্বল ভাবানুবাদও এখানে দিয়ে দিলাম এই লেখার পাঠকদের উদ্দেশে :

“অদৃষ্টের স্মরণে দাও তার অজ্ঞতার কথা
নিসর্গকে দাও তার ক্ষয়িষ্ণুতার বারতা;
মৈত্রীকে শোনাও তার হৃদয়হীনতা
ন্যায্যতা জানুক তার দীর্ঘ অপেক্ষা;
আর যদি মেলে সাড়া এবার;
ছুঁড়ে ফেলো যতো মিথ্যার ভাণ্ডার।”


- লেখকের জয় হোক, পাঠকের জয় হোক।

 

[লেখাটি সারাবাংলা ডট নেট-এ ১৪ মে ২০২০ প্রকাশিত হয়।]