By সজীব সরকার
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স পাঠ : আত্ম-সচেতনতা (self-awareness)
Media School April 28, 2024
প্রতীকী ছবি।
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (Emotional Intelligence or EI) বা আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পেশাগত উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখে। আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার একটি বিশেষ উপাদান হলো আত্ম-সচেতনতা (self-awareness)। আবেগীয় সচেতনতা অর্থাৎ নিজের আবেগ সম্বন্ধে সচেতন থাকা হলো আত্ম-সচেতনতার প্রথম শর্ত।
আবেগীয় সচেতনতা মানে হলো, একজন ব্যক্তি কখন ও কী পরিস্থিতিতে কেমন আবেগ নিজের মধ্যে অনুভব করেন এবং কী উপায়ে তা প্রকাশ করেন- এ ব্যাপারে তার সঠিক পূর্বধারণা থাকা। সহজ করে বললে, নিজের আবেগ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা।
আত্ম-সচেতনতা অর্থাৎ নিজের আবেগীয় দিকগুলো সম্বন্ধে সঠিক ধারণা থাকলে একজন ব্যক্তি অন্যদের তুলনায় বাড়তি কিছু সুফল পেতে পারেন। যেমন :
১) নিজেকে ভালোভাবে চেনা যায়।
২) অপ্রীতিকর বা অস্বস্তিকর নানান পরিস্থিতিতে নিজেকে সহজেই সামলে নেওয়া যায়।
৩) জটিল বা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লে নিজেকে অকারণ দোষারোপ বা অযৌক্তিক অপরাধবোধে ভোগার প্রবণতা কমে।
৪) জটিল বা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লে তাড়াহুড়ো করে বা অনিয়ন্ত্রিত আবেগের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকা যায়।
৫) যে-কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজতর হয়।
৬) মানুষের সাথে সহজেই মেশার সক্ষমতা বাড়ে।
৭) মানবীয় সম্পর্কগুলোর ব্যাপারে সচেতন, যত্নশীল ও উদার হওয়া সম্ভব হয়।
এসব গুণ বা দক্ষতা ব্যক্তির সার্বিক আত্ম-উন্নয়নের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত ক্ষেত্রে তাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখতে পারে।
আত্ম-সচেতনতা (self-awareness) হলো আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার মৌলিক ৫টি উপাদানের প্রথম উপাদান। অন্য উপাদানগুলো হলো : আত্ম-নিয়ন্ত্রণ (self-regulation), আত্ম-প্রেরণার সহজাত বোধ (internal or intrinsic motivation), সমানুভূতি (empathy) ও সামাজিক দক্ষতা (social skills)।